মহাকাশ সম্পর্কে ১০টি অজানা তথ্য যা গা হীম করে দিবে

 





রাতের আকাশের দিকে হোক কিংবা দিনের আকাশের দিকে হোক আমরা যে মহাশূন্য দিগন্ত দেখতে পাই সেটাই মহাকাশ। দিনের বেলায় সূর্যের ঝলমলে মহাকাশ সম্পর্কে আমাদের কৌতুহলী একটু কম জাগেন যতটা রাতের তারা ভর্তি মহাকাশের দিকে তাকালে দেখা যায়। 


কৌতুহলী মানুষরা মহাকাশ নিয়ে যুগ যুগ ধরে নানা চিন্তা ভাবনা বা গবেষণা করে আসছে। এমনকি আমাদের সমাজের সাধারণ মানুষের মধ্যে মহাকাশ নিয়ে নানা ধরনের কৌতুক দেখা যায়। 


আজকে আমরা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব মহাকাশ সম্পর্কে এমন 10 টি অজানা তথ্য তথ্য গুলো হয়তো আপনি আগে আর কখনই শুনিনি। তো দেরি না করে পুরো মহাকাশ সম্পর্কে ডিটেইলস বা 10 টি মজার তথ্য জেনে আসি। 


১, আপনি হয়তো ভেবে থাকতে পারেন মহাকাশেও পৃথিবীর মতো এরকম গাড়ির হর্ণ কিংবা আরো নানা প্রকার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। বিষয়টি একেবারেই ভুল মহাকাশ হচ্ছে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এখানে কোনও শব্দ নেই  এবং এখানে শব্দ প্রবাহের কোন মাধ্যমে নেই। 


২, নক্ষত্র বলতে সাধারণত অনেক উজ্জ্বল ও বড় তারা কে বোঝানো হয়। সূর্য একটি নক্ষত্র কিন্তু মহাকাশে এমন একটি নক্ষত্র রয়েছে যার উপরিভাগের তাপমাত্রা মাত্র 27 ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু আমাদের সূর্যের উপরিভাগের তাপমাত্রা 5778 ডিগ্রি সেলসিয়াস। হয়তো ভাবছেন এত কম তাপমাত্রায় আবার নক্ষত্র হয় কিভাবে হ্যাঁ এই নক্ষত্রটি পৃথিবী থেকে 47 আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। 


৩, আপনি যদি কোন প্রকার যান্ত্রিক সহায়তা ছাড়া আকাশে উড়তে চান তাহলে আপনাকে শনির উপগ্রহ সেখানে যেতে হবে। কেননা শনির উপগ্রহ স্যাটানের বায়ুমণ্ডলের স্তর এতই ঘনত্ব যেখানে আপনি হাত দুই হাত প্রসারিত করে শূন্যে ভেসে থাকতে পারবেন। 


৪, আমরা আমাদের পাশে রয়েছে বিশাল সৌরজগৎ ভাত সৌরমন্ডল দেখতে পাই এর ওজনের 99% দখল করে রেখেছে সূর্য। 


৫, চাঁদে মানুষ গিয়েছে কিনা এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা বা সন্দেহ রয়েই গেছে। কিন্তু চাঁদ যদি কোন মানুষ সত্যিই দিয়ে থাকে তার পায়ের ছাপ 10 কোটি বছর পরও সেখানে পাওয়া যাবে। কারণ যাতে কোন বায়ুমণ্ডল নেই সেখানে বৃষ্টি হয় না ফলে পায়ের ছাপ মুছে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। 


৬, আপনার পথ ভূত মানে কি কখনো কৌতুহলী প্রশ্ন জেগেছে আসলে সূর্যের আসল নাম কি? এবং এই সূর্যটাকে মহাকাশ থেকে কিরকম দেখতে দেখা যায়। সূর্যের আসল রং সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নয় তবে পৃথিবী থেকে সূর্য গ্রহ লুক দেখা গেল মহাকাশ থেকে সূর্যকে একটি সাদা ইন্দুর মত দেখায়। 


৭, অথৈ জলরাশি বা সমুদ্রে গিয়ে আপনি হয়তো ভয় পেয়ে গেছেন এখানে এত চলরাশির কোত্থেকে আসলো আর এত জলরাশির মোট পরিমাণ কত? বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি আবিষ্কার করেছে মহাকাশে এমন একটি জলধারা রয়েছে যেখানে জলের পরিমাণ পৃথিবীর সমস্ত জলের থেকে 1 কোটি 40 লক্ষ গুণ বেশি। আপনি যদি জলেবি তুহাজল দেখলে ভয় পান তাহলে নিশ্চয়ই আপনি সেখানে যেতে চাইবেন না। 


৮, রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা একবার পৃথিবীর বাহিরে মহাকাশে আরশোলার প্রজনন ঘটে আরশোলা জন্ম দিতে চেয়েছিলেন। তারা বিস্মিত হন সেখানে জন্ম নেওয়া সে আসলে গুলো পৃথিবীর আস লোকসাহিত্যের সবদিক থেকেই শক্তিশালী ছিল। 

৯, রাতের জ্যোৎস্না মহাকাশের চাঁদের আলোতে আমরা সবাই বিস্মৃত হই। কিন্তু এই চাপ প্রতিবছর পৃথিবী থেকে 1.5 ইঞ্চি করে দূরে সরে যাচ্ছে হয়তো পৃথিবীর প্রতি তার কোন রাগ বা ক্ষোভ রয়েছে। 

১০, নভোচারী বা মহাকাশচারীরা যারা মহাকাশে ভ্রমণ করে থাকেন তারা ভ্রমণ করে ফিরে আসার পর তাদের উচ্চতা 2 ইঞ্চি পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। 

আমাদের এই তথ্যগুলো বিভিন্ন পত্রিকায় বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হাতায় কোন তথ্য যদি মনে হয় আপনার ভুল রয়েছে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদেরকে জানান। 

আমরা ভুল তথ্যটি সংশোধন করে সঠিক তথ্যটি প্রকাশের চেষ্টা করব। বিজ্ঞানকে জানান টিপতে জানুন এবং সমস্ত খুঁটিনাটি জানতে আমাদের সাইটটি ভিজিট করুন।


2 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন